পোস্টগুলি

SHRI SHRI HARICHAND THAKUR IS ONE OF THE SYMBOLS OF WORLD HUMANISM

Alor Sandhane - আলোর সন্ধানে

ছবি
একাদশ পর্বঃ গৃহে ‘ শ্রীহরি ’ র মন্দির স্থাপন : মতুয়া ধর্মের “ দ্বাদশ আজ্ঞা ” র একটি হল ‘ শ্রীহরি ’ র মন্দির স্থাপন কর ” । ‘ শ্রীহরি ’ র মন্দির স্থাপন কেন ? যাদের ‘ নুন আনতে পান্তা ফুরায় ’ তারা কিভাবে মন্দির স্থাপন করবেন ?   শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর সমস্ত “ বেদ - বিধির ” উপরে ওঠার কথা বলতেন সর্বদাই এবং অযথা অর্থব্যয় করতে বারণ করতেন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে । তাহলে একথা বলা যায় , শুধুমাত্র বাহ্যিক মন্দিরের কথা শ্রীশ্রীঠাকুর বলতে পারেন না । তাই গৃহে শ্রীহরির মন্দির স্থাপনের অন্তর্নিহিত সত্যটি আমাদের উপলব্ধি করা বিশেষ প্রয়োজন ।   প্রথমেই বলি , শ্রীশ্রীঠাকুর মতুয়াদের   “ দ্বাদশ আজ্ঞা ” পালন করতে বলেছেন । এখন প্রশ্ন আসে , মতুয়া কে বা কারা ? এর উত্তরে বলা যায় , যারা সমস্তরকম কুসংস্কার ত্যাগ করে বাস্তবসম্মত , বিজ্ঞানসম্মত এবং মানবতাবাদের পথে চলতে পারেন তারাই ‘ মতুয়া ’ । ‘ মতুয়াবাদ ’ কোন বিশেষ সম্প্রদায়ের মধ্যে আবদ্ধ নয় । তাই দেখা যায় , মতুয়াধর্মে সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন । কোন তন্ত্র - মন্ত্র বা দীক্ষালাভের মাধ্যমে মতুয়া সাজা যায় না , মতুয়া হতে হয় । এ প্রসঙ্গে সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে আগত ডঃ স

Alor Sandhane - আলোর সন্ধানে

ছবি
দশম পর্বঃ গুরুচাঁদে হরিচাঁদের মিলন : “ শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত ” গ্রন্থের ‘ তিরোভাব খন্ডে ’ আমরা দেখতে পাই ----- শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর ভক্তগণের নিকট বলেছেন :-   “ আমি নাহি ছেড়ে যা ’ ব জানিও বিশেষ । গুরুচাঁদ দেহে এই করিনু প্রবেশ ।। গুরুচাঁদে ভক্তি করিস্ মোর মত । যাহা চা ’ বি তাহা পা ’ বি মনোনীত যত ।। ”   “ শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ চরিতের ” রচয়িতা ‘ আচার্য ’ মহানন্দ হালদার উপরিউক্ত চারটি লাইন সম্পর্কে মতামত ব্যক্ত করতে যেয়ে বলেছেন -----“ এই বাণীর অন্তর্নিহিত সত্য কি ? ইহা কি দেহের সহিত দেহের মিলন বা শক্তির সহিত শক্তির মিলন ? এই “ মিলনের ” প্রকৃত অর্থ আমরা তখনই বুঝি যখন দেখি যে শ্রীশ্রীহরি ঠাকুরের পুত্র শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর আজীবন তাহারই মহান পিতার আদর্শে জীব জগতের কল্যাণ সাধন করিয়া গিয়াছেন । যখন দেখি যে তাঁহার শ্রীপাদ আশ্রয় তলেও অসংখ্য ব্যথিত - পরাণ নরনারী রোগ শোক , জ্বালা যন্ত্রনা হইতে মুক্তি লাভের আশায় সমবেত হইয়াছিল এবং দেব দুর্লভ শান্তিলাভের অধিকারী হইয়াছিল । ইহাই শ্রীশ্রীহরিচাঁদ - গুরুচাঁদ মিলন । ইহাই “ মতুয়া ” ধর্মের মর্ম্মকথা। মতুয়ামত জড়বাদী নয় ---- শক্তির সাধক ; দুর্ব্বার শক্তিবেগে অনাচার ,

Alor Sandhane - আলোর সন্ধানে

ছবি
নবম পর্বঃ অবতার ও পূর্ণব্রহ্ম : মতুয়ারা শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুরকে পূর্ণব্রহ্ম পূর্ণাবতার বলেই মানেন । এই ‘ পূর্ণব্রহ্ম ’ ও ‘ অবতার ’- এর ধারনাটি আমাদের কাছে পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন । শ্রীমত্ অশ্বিনী সরকার একটি গানের শেষ ছত্রে বলেছেন ------   “ সেই হরির নাম ল ’ য়ে এবার , এল ‘ হরিশ্চন্দ্র ’ আমার , কলির জীব করিল নিস্তার , অশ্বিনী নামে হ ’ ল বাম । ” (“ শ্রীশ্রীহরি সঙ্গীত ”)   শ্রীশ্রীহরি - গুরুচাঁদ ঠাকুরের পরম ভক্ত অশ্বিনী গোঁসাইয়ের এই গানটি হতে পরিস্কার বোঝা যায় যে এই ‘ হরিশ্চন্দ্র ’ অর্থাৎ ‘ হরিচাঁদ ঠাকুর ’ আর ‘ সেই হরি ’ অর্থাৎ ‘ বিশ্বব্রহ্মান্ডের সৃষ্টিকর্তা ’ বা ‘ পরম শক্তি ’ এক নয় । হরিচাঁদ ঠাকুর অধর্মের ( যা যুগ যুগ ধরে মানুষকে ‘ ধর্ম ’ বলে বোঝানো হয়েছিল ) সমস্ত রকম অবাঞ্ছিত বেড়াজাল ভেঙে দিয়ে হাতে কাজ ও মুখে হরিনামের মাধ্যমে পবিত্র গৃহ ও সুন্দর সমাজ গঠনের মধ্য দিয়ে ‘ সেই হরি ’ অর্থাৎ ‘ অসীম শক্তি ’ র সাথে যোগাযোগের এক নবদিশা দেখিয়েছেন । সীমার মধ্যে থেকে অসীমের মাঝে মিলনের এমন সুন্দর পথ আর হতে পারে না । তাহলে হরিচাঁদ ঠাকুর কি পূর্ণাবতার বা পূর্ণব্রহ্ম নয় ?   অবতার কথার ব্যাখ্যা :- পৃ

Alor Sandhane - আলোর সন্ধানে

ছবি
অষ্টম পর্বঃ ভক্ত ও ভক্তি : ভারতবর্ষ বহু প্রাচীনকাল হতেই ধর্মভিত্তিক একটি দেশ হিসেবে পরিচিত এবং এদেশকে আধ্যাত্মিকতার পীঠস্থানও বলা হয় । মন্দির , মসজিদ , গির্জা ইত্যাদি কোনোটার - ই অভাব এখানে নেই এবং উত্তরোত্তর সংখ্যা বৃদ্ধি হয়েই চলেছে ! প্রতিবৎসর কত টাকা যে ইনভেষ্ট হয় এসবের জন্য তার সঠিক হিসেব নেই । তবে এগুলি যে দানের টাকা তা নিঃসন্দেহে বলা যায় ! এই দান দেয় কারা ? অবশ্যই ভক্ত যারা ! এই টাকা কিভাবে বা কারা ভোগ করেন সেটা সহজেই অনুমেয় । তবে ভারতবর্ষে যে ভকতসুজনদের কোন অভাব নেই একথা স্বীকার করতেই হবে ! এদের মধ্যে আবার অনেকে প্রতিষ্ঠিত নামী মানুষ আছেন যারা অনেকের চোখে মহান ব্যক্তিত্ত্ব ! যে দেশে ভক্তের অভাব নেই , সেখানে এত সামাজিক অনাচার ও দুর্নীতি কেন ? কিসের অভাব ?? এরই উত্তর দিয়েছেন এবং দিশা দেখিয়েছেন হরি - গুরুচাঁদ ঠাকুরের পরম ভক্ত ‘ সাধক ’ অশ্বিনী সরকার । তিনি একটি গানে বলেছেন ---- ---   “ ভক্তি কে যে তুচ্ছ করে মুক্তি ক ’ রে শ্রেষ্ঠ । হরি নামে পাপ খন্ডে     ব্যাখ্যা ক ’ রে সেই দুষ্ট ।। ”   আমরা বেশীর ভাগ মানুষই বাস্তবতা ভুলে নানারকম অলৌকিকতা ও বাহ্যিক উপাচার নিয়েই মত্ত । বিশ্বব্রহ্মান্ড